বৌদ্ধ ধমের্র জাতক নামক গ্রন্থে একটি উপখ্যান আছে। কোন এক ব্যক্তির Sony 4 GB Memory Stick PRO Duo Flash Memory Card MSMT4G
Serie de Oro: Grandes Exitos
মা বাবা তার নাম রেখে ছিল`পাপক'। সে যখন বড় হল, তখন ঐ নামটা তার ভীষণ খারাপ লাগতে লাগলো। তখন সে, যে গুরুর নিকট বিদ্যাশিক্ষা করতেছির তার কাছে গিয়ে বলে,- গুরু আমার নামটা বদলে দিন। এই নাম খুব অপ্রিয়, কারণ এট অশুভ,অমাঙ্গলিক। গুরু তাখে অনেক বুঝালেন নাম হচ্ছে একটা ` প্রজ্হপ্তি' মাত্র। ব্যবহার জগতে কাউকে ডাকার জন্য এ নামের প্রয়োজন। কারো নাম পাপক হলে সে ভাল কাজের দ্ভরা ধামির্ক হতে পারে।
এবাবে গ্ররু তাকে এ বিষয়ে অনেক বুঝালোন কিন্ত তিনি কিছুতেই শুনলেন না। তখন গুরু তাকে বলেদিলেন, যা সমস্থ এলাকা ঘুরে এসো। যে নাম তোমার মাঙ্গলিক মনে হবে, আমাকে এসে জানাবে। তোমার নাম সেভাবে পালটে দেয়া হবে।
পাপক সুন্দর নাম খুজতে বেরিয় পরলেন। কিছু দূর যাবার পর তিনি এক শব যাত্রা দেখলেন। জিজ্ঞস কললেন কে মারা গেছে?
লোকেরা বললো- জীবক। পাপক তখন ভাবতে লাগলেন, নাম তার জীবক, কিন্তু তার মৃত্যু হলো কেন?
আর কিছু পথ যাবার পর দেখলেন এক দীন-দরিদ্র লোক তার স্ত্রীকে মারধর করছে। পাপক জানতে পারলেন সে স্ত্রী লোকটির নাম- ধনপালী। পাপক ভাবতে লাগলেন তার নাম ধনপালি, অতচ সে দীন-দরিদ্র। আর কিছু দূর যাবার পর দেখলেন এক লোক পথ নিশানা হারিয় পথের নিশানা জিজ্ঞেস করছেন। তিনি তার নাম জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন- তার নাম- পন্হক। পাপক তখন চিন্তা করলেন- আরে! পন্থক তাহলে পন্থা (রাস্থা )জিজ্ঞেস করছে! সে রাস্থা হারায়?
পাপক তার গুরুর কাছে পিরে এলেন। নামের প্রতি তার আর কোন আকর্ষণ বা বিকষর্ন রইলো না। তিনি বুঝতে পারলেন , নাম এ কি আসে।জীরক মরে আজীবকো মরে। ধনপাল্রি দরিদ্র হয় অধনপালি দরিদ্র হয়। আমার নাম পাপক কিন্ত অমঙ্গল তো কিছুই দেখছি না। আমি ভাল কাজই করবো।
সুপ্রিয় ভাই বোনেরা, যে কথা ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আমি মনে করি সম্প্রদায় বেলায় তা সমভাবে প্রযোজ্য। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি বোধিসম্পন্ন? ব্রাক্ষণ সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি ব্রক্ষবিহারী? ইসলাম সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি আত্নসমপির্ত এবং শান্ত? প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই যেমন ভাল-মন্দ আছে তদ্রুপ সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাল-মন্দ লোক আছে। কোন সম্প্রদায়ের সব লোকই ভাল হতে পারে না আবার সব লোকই খারপ হতে পারে না। কিন্ত সাম্পদায়িক আসক্তির কারণে আমরা নিজের সম্প্রদায়ের সকল ব্যক্তিকে সজ্জন এবং অন্য সম্প্রদায়ের প্রত্যেক লোককে দুজর্ন মনে করি। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দু, মুসলমান, উপজাতি, বাঙ্গালি বলা মাত্রই কোন ব্যক্তি সজ্জন বা দুজ্জন হতে পারে না। একজন চাকমা সম্প্রদায়ধারী ব্যক্তি পরম শান্তি প্রিয় হতে পারে আবার নিত্যান্ত খারপো হতে পারে। এই কথা সকল সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন কোন ব্যক্তি চেনবার জন্য একটি নাম দেয়া হয়, তেমনি কোন সম্প্রদায়কে চেনার জন্য একটি নাম দেয়া হয় মাত্র। নামের সাথে তার গুণের কোন সম্পর্ক নেই। তেলভরা টিনের গায়ে `ঘি' এর লেবেল লাগিয়ে দিলে তেল তেলই থাবে; বিশুদ্ধ ঘি হয়ে যায় না।
সাম্প্রদায়িকতার রঙ্গিন চশমা খুলে ফেলে দেখলেই শান্তির শুদ্ধ রূপ প্রকটিত হবে। অন্যতা নিজের সম্প্রদয়ের রঙ-চাকচিক্য নামলেবেলই প্রধান্য পেয়ে সমাচজ অশান্তি বয়ে আনবে। এই সাম্প্রদায়িক তকমার সাথে শান্তির কি সম্পর্ক থাকতে পারে? চমকদার নাম এবং তকমার থেকে আমরা কিই বা পেতে পারি! কারো কিছু পাবার সম্ভব কি? মদে ভরা বোতলে দুধের লেবেল লাগানো থাকলে সেটা পান করে আমাদের নেশাই হবে। যদি সেখানে পানি থাকে তা পান করে তেষ্টা মেটানো যেতে পারে, কিন্ত স্বাস্থ বান শরীর লাভ করা যাবে না। স্বাস্থবান হতে হলে বিশুদ্ধ দুধ পান করতে হবে।
তিন পাবর্ত্য এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ আসুন, এই সম্প্রদায়ের ঊধ্বের উঠে নিজেদের শান্ত করে সমাজকে শান্ত করি।
আমার আগের পোস্ট যারা পরেছে তারা হয়তো অনেকে জানে আমি খুভ ছোট থাকার সময় আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যান। সেই ছোট থেকে আজ দীঘ ১৬ বছর হতে চলছে আমি বাঙলি সমাজে বসবাস করছি। বাঙ্গালির খাবার আমার পেট জুরাই, বাংলা ভাষা বলতে আমি স্বাচ্চন্দ বোধ করি, বাংলারদেশের সমস্থ এলাকার মানুষ আমার আপন হনে হয়। অতচ যে সময় আমার বাবা মারা যান আমি মনে প্রাণে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করতাম। এখন সেই সেনাবাহিনীতে আমার তিন বন্ধু (লিংকন, ওসমান, কিরণ ) যোগ দান করে দেশের সেবা করতেছে । তাদের নিয়ে আমি গভর্বোধ করি।
প্রিয় উপজাতী- বাঙ্গালী ভাই বোনেরা আসুন আমার সম্প্রদায়ের সীমানা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের নিজ এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করি


...........তুমি এসো শান্তি, দূর করে সবর্ ক্রান্তি
............ তোমর অপেক্ষায় মম চিত্ত অন্তি।











এবাবে গ্ররু তাকে এ বিষয়ে অনেক বুঝালোন কিন্ত তিনি কিছুতেই শুনলেন না। তখন গুরু তাকে বলেদিলেন, যা সমস্থ এলাকা ঘুরে এসো। যে নাম তোমার মাঙ্গলিক মনে হবে, আমাকে এসে জানাবে। তোমার নাম সেভাবে পালটে দেয়া হবে।
পাপক সুন্দর নাম খুজতে বেরিয় পরলেন। কিছু দূর যাবার পর তিনি এক শব যাত্রা দেখলেন। জিজ্ঞস কললেন কে মারা গেছে?
লোকেরা বললো- জীবক। পাপক তখন ভাবতে লাগলেন, নাম তার জীবক, কিন্তু তার মৃত্যু হলো কেন?
আর কিছু পথ যাবার পর দেখলেন এক দীন-দরিদ্র লোক তার স্ত্রীকে মারধর করছে। পাপক জানতে পারলেন সে স্ত্রী লোকটির নাম- ধনপালী। পাপক ভাবতে লাগলেন তার নাম ধনপালি, অতচ সে দীন-দরিদ্র। আর কিছু দূর যাবার পর দেখলেন এক লোক পথ নিশানা হারিয় পথের নিশানা জিজ্ঞেস করছেন। তিনি তার নাম জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন- তার নাম- পন্হক। পাপক তখন চিন্তা করলেন- আরে! পন্থক তাহলে পন্থা (রাস্থা )জিজ্ঞেস করছে! সে রাস্থা হারায়?
পাপক তার গুরুর কাছে পিরে এলেন। নামের প্রতি তার আর কোন আকর্ষণ বা বিকষর্ন রইলো না। তিনি বুঝতে পারলেন , নাম এ কি আসে।জীরক মরে আজীবকো মরে। ধনপাল্রি দরিদ্র হয় অধনপালি দরিদ্র হয়। আমার নাম পাপক কিন্ত অমঙ্গল তো কিছুই দেখছি না। আমি ভাল কাজই করবো।
সুপ্রিয় ভাই বোনেরা, যে কথা ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আমি মনে করি সম্প্রদায় বেলায় তা সমভাবে প্রযোজ্য। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি বোধিসম্পন্ন? ব্রাক্ষণ সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি ব্রক্ষবিহারী? ইসলাম সম্প্রদায়ের সমস্থ লোকই কি আত্নসমপির্ত এবং শান্ত? প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই যেমন ভাল-মন্দ আছে তদ্রুপ সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাল-মন্দ লোক আছে। কোন সম্প্রদায়ের সব লোকই ভাল হতে পারে না আবার সব লোকই খারপ হতে পারে না। কিন্ত সাম্পদায়িক আসক্তির কারণে আমরা নিজের সম্প্রদায়ের সকল ব্যক্তিকে সজ্জন এবং অন্য সম্প্রদায়ের প্রত্যেক লোককে দুজর্ন মনে করি। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দু, মুসলমান, উপজাতি, বাঙ্গালি বলা মাত্রই কোন ব্যক্তি সজ্জন বা দুজ্জন হতে পারে না। একজন চাকমা সম্প্রদায়ধারী ব্যক্তি পরম শান্তি প্রিয় হতে পারে আবার নিত্যান্ত খারপো হতে পারে। এই কথা সকল সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন কোন ব্যক্তি চেনবার জন্য একটি নাম দেয়া হয়, তেমনি কোন সম্প্রদায়কে চেনার জন্য একটি নাম দেয়া হয় মাত্র। নামের সাথে তার গুণের কোন সম্পর্ক নেই। তেলভরা টিনের গায়ে `ঘি' এর লেবেল লাগিয়ে দিলে তেল তেলই থাবে; বিশুদ্ধ ঘি হয়ে যায় না।
সাম্প্রদায়িকতার রঙ্গিন চশমা খুলে ফেলে দেখলেই শান্তির শুদ্ধ রূপ প্রকটিত হবে। অন্যতা নিজের সম্প্রদয়ের রঙ-চাকচিক্য নামলেবেলই প্রধান্য পেয়ে সমাচজ অশান্তি বয়ে আনবে। এই সাম্প্রদায়িক তকমার সাথে শান্তির কি সম্পর্ক থাকতে পারে? চমকদার নাম এবং তকমার থেকে আমরা কিই বা পেতে পারি! কারো কিছু পাবার সম্ভব কি? মদে ভরা বোতলে দুধের লেবেল লাগানো থাকলে সেটা পান করে আমাদের নেশাই হবে। যদি সেখানে পানি থাকে তা পান করে তেষ্টা মেটানো যেতে পারে, কিন্ত স্বাস্থ বান শরীর লাভ করা যাবে না। স্বাস্থবান হতে হলে বিশুদ্ধ দুধ পান করতে হবে।
তিন পাবর্ত্য এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ আসুন, এই সম্প্রদায়ের ঊধ্বের উঠে নিজেদের শান্ত করে সমাজকে শান্ত করি।
আমার আগের পোস্ট যারা পরেছে তারা হয়তো অনেকে জানে আমি খুভ ছোট থাকার সময় আমার বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যান। সেই ছোট থেকে আজ দীঘ ১৬ বছর হতে চলছে আমি বাঙলি সমাজে বসবাস করছি। বাঙ্গালির খাবার আমার পেট জুরাই, বাংলা ভাষা বলতে আমি স্বাচ্চন্দ বোধ করি, বাংলারদেশের সমস্থ এলাকার মানুষ আমার আপন হনে হয়। অতচ যে সময় আমার বাবা মারা যান আমি মনে প্রাণে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করতাম। এখন সেই সেনাবাহিনীতে আমার তিন বন্ধু (লিংকন, ওসমান, কিরণ ) যোগ দান করে দেশের সেবা করতেছে । তাদের নিয়ে আমি গভর্বোধ করি।
প্রিয় উপজাতী- বাঙ্গালী ভাই বোনেরা আসুন আমার সম্প্রদায়ের সীমানা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের নিজ এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করি
...........তুমি এসো শান্তি, দূর করে সবর্ ক্রান্তি
............ তোমর অপেক্ষায় মম চিত্ত অন্তি।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for you Vist my Blogspot.
Thanks
Nibaron Chakma
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷